ক্লাব ফুটবল যারা ভালোবাসেন, আজ রাতটি তাদের নির্ঘুম কাটবে। ইউরোপিয়ান ফুটবল বেছে নেবে আগামী এক বছরের জন্য তার রাজাকে। রাজা হওয়ার লড়াইয়ে নামছে যে দুটি দল, তাদের একটি জানে না চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শ্রেষ্ঠত্বের স্বাদ কেমন। আরেক দল ১৫ বছর আগে শিরোপা জিতেছিল। নিশ্চয়ই স্বাদটা ভুলতে বসেছে!
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে শনিবার (৩১ মে) দিনগত রাতে শ্রেষ্ঠত্বের স্বাদ পেতে মাঠে নামছে ইন্টার মিলান ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ১টায়।
চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আছে পিএসজির। ২০২০ সালে প্রথমবার ফাইনাল খেলেছিল দলটি। শিরোপার কাছে গিয়ে ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। ইন্টার সর্বশেষ ফাইনাল খেলেছিল ২০১০ সালে। দেড় দশক আগের ফাইনালে শেষ হাসি হেসেছিল মিলানের ক্লাবটি। সবমিলিয়ে এটি তাদের সপ্তম ফাইনাল। পিএসজির প্রথম শিরোপার বিপরীতে ইন্টারের অপেক্ষা চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়া।
ফাইনালে লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে। ইতালির চিরায়ত শক্তি রক্ষণ। রক্ষণ ঠিক রেখেই ইতালির ক্লাব ইন্টার আক্রমণ শানিয়েছে পুরো আসরে। ফরাসি ক্লাব পিএসজির হিসাব সোজা, যেকোনো পরিস্থিতিতে আক্রমণ করে যাও। চ্যালেঞ্জটা তাই ইন্টারের রক্ষণ দুর্গ ভাঙার। ইন্টার হাঁটবে নিজস্ব কৌশলেই, নিজের ঘর ঠিক রেখে পরের ঘর তছনছ করে দাও।
দুই ডাগআউটে দাঁড়ানো সিমোন ইনজাঘি ও লুইস এনরিকের দিকে চোখ থাকবে একটু গভীরে যাওয়া ফুটবলপ্রেমিদের। এখানে এনরিকে এগিয়ে থাকবেন কিছুটা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে চাপ সামলে শিরোপা কীভাবে জিততে হয় তা তিনি জানেন। বার্সেলোনাকে ইউরোপের মঞ্চে সেরাদের সেরা করেছিলেন এনরিকে। খেলোয়াড় হিসেবেও জিতেছিলেন এই ট্রফি। যেখানে ইনজাঘি এখন পর্যন্ত জিততে পারেননি শিরোপা। তবে ইন্টারকে এবার যে গতিতে ফাইনালে তুলেছেন, পাশার দান উল্টে দিতে পারেন।
ইউরোপিয়ান ফুটবলে আজকের রাতটি সবচেয়ে বড়। মৌসুমের সবচেয়ে বড় ম্যাচে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় তুলতে মরণকামড় দেবে দুদলই। একটি মুহূর্ত বদলে দিতে পারে ভাগ্য। কেউ হবে রাজা, কেউ আবারও ঘরে ফিরবে শূন্য ঝোলা নিয়ে।
খুলনা গেজেট/এএজে